শিরোনাম |
❒ সেই ফুচকা বিক্রেতা মনির আটক ছবি:
যশোরের অভয়নগরে ফুচকা খেয়ে দুই শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন মহল ফুচকা-চটপটি খাওয়া বন্ধ করেছে। উদ্বেগ-উৎকন্ঠাও দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে। এ অবস্থায় পুলিশ সাঁড়াসী অভিযান চালিয়ে সেই ফুচকা বিক্রেতা মনির হোসেনকে আটক করেছে। বুধবার (২ এপ্রিল) গভীর রাতে মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ঢাকুরিয়া উত্তরপাড়ার আব্দুল লতিফ মিন্টুর ছেলে।
অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস জানান, গত ৩১ মার্চ ঈদের দিন নওয়াপাড়ার দেয়াপাড়া গ্ৰামের ভৈরব নদীর পূর্ব পাড়ে মনির হোসেন নামে ওই ব্যক্তি চটপটি ও ফুচকার অস্থায়ী দোকান দেয়। নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুরা তার দোকান থেকে ফুচকা খায়। পরবর্তীতে গভীর রাত থেকে তারা পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করে। পরের দিন পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। যার সর্বশেষ সংখ্যা ২১৩ জন ছাড়িয়েছে।
বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও চাঞ্চল্যকর হওয়ায় ফুচকা দোকানিকে আটকে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সর্বশেষ বুধবার গভীর রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া থেকে ফুচকা বিক্রেতা মামুনকে আটক করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইনে তানজিম হোসাইন নামে একজন ভুক্তভোগী মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সচেতন মহল বলছেন-ফুচকা বিক্রেতাকে আটক কোনো সমাধান না। যে ফুচকা খেয়ে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হলো, সেই ফুচকা পরীক্ষা করে দেখা উচিত প্রকৃত ঘটনা কি। তাহলেই ফুচকা ও চটপটি নিয়ে জনমনে যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে-তা কমে আসবে।