শিরোনাম |
❒ চরম বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ,অনাহারে দিন কাটছে অনেক পরিবারের
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে চলতি শীত মৌসুমে তৃতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। এসব মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারি-বেসরকারি কোনো পর্যায়ের মানুষ সেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি।
দক্ষিণজনপদের এই জেলাটিতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অলস সময় পার করছেন ব্যাটারি-প্যাডেলচালিত ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা। তীব্র শীতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজও। মাঠে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরাও ঠিকমতো কৃষি কাজ করতে পারছেন না।
জেলা শহরের নতুন বাজার এলাকায় কাজের সন্ধানে অপেক্ষায় থাকা এক মাটিকাটা শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন শীত একটু কম ছিল। কাজকর্ম করতে পারছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই শীত বেশি পড়ছে। ফলে অনেকেই কাজ পাচ্ছেন না, আবার যারা পাচ্ছেন; শীতের তীব্রতায় তারাও কাজ শেষ করতে পারছে না সময় মতো।
পাখিভ্যানচালক শফিউর রহমান বলেন, শীতের কারণে রাস্তাঘাটে লোকজন কমে গেছে। যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। আয় রোজগার অনেক কমে গেছে।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে যাওয়াসহ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর ১৪ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা আবারও বাড়তে পারে।
দফায় দফায় শৈত্যপ্রবাহ বইতে থাকায় শীতজনিত রোগবালাই বেড়েই চলেছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীদের ভিড় লেগেই আছে।
সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, বর্তমানে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে রোগীরা বেশি চিকিৎসা নিতে আসছেন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন-প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে। খাদ্যদ্রব্যের দাম নাগালের বাইরে। এরমধ্যে শীতের প্রকোপে কাজ করতে না পারায় চুলো জ্বলছে না অনেক পরিবারে। কিন্তু প্রতিবছরের মতো এবার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়নি কেউ। এ অবস্থায় অনেক পরিবারের দিন কাটছে অনাহারে।