শিরোনাম |
যশোরের কেশবপুর কলাগাছি বাজারে সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমর্থিত ও বিএনপি সমর্থিত দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় মুহূর্মুহু ককটেলের বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ১০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যান সমর্থিতরা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে।
মারপিট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন-উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ গাজী (২৫), ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম (২০), রিয়াজুর রহমান (২৪), আড়ুয়া গ্রামের বিএনপি নেতা আফসার মোড়ল (৫০), সারুটিয়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিল (২৪), নূর ইসলাম মোল্লা (৪৫), জালাল দফাদার (৪৮), রোজিনা বেগম (৪০), কায়েমখোলা গ্রামের আব্দুল মান্নান (৪৫) ও বেতিখোলা গ্রামের আব্দুল হামিদ শেখকে (৫০)।
স্থানীয়রা জানান, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান দীর্ঘদিন ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে পারছিলেন না। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি তার সমর্থিত লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যান। এ সময় কতিপয় ব্যক্তি বাধা দেয়। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সন্ধ্যারাতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর ও ৫/৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয়।
সুফলাকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিএম মহিউদ্দিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মুনজুর রহমানের লোকজন হামলা চালিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আহত করেছে। এ সময় তার কলাগাছি বাজারের ব্যক্তিগত অফিসও ভাংচুর করার খবর পাওয়া গেছে। তবে চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমানের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোনে বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তার সমর্থকরা জানিয়েছেন, তাদের উপর প্রতিপক্ষরা আগে হামলা চালায়। এ হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
কেশবপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান-সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজারে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখান থেকে কিছু কাঁচের বোতলের টুকরা উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।