শিরোনাম |
❒ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড
কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম। বাংলাদেশের পাশাপাশি তিনি পাকিস্তানেও সমান জনপ্রিয় তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সিনেমার পর্দায় তাকে দেখা যাচ্ছে না। বাসায় নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে থাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন এই কিংবদন্তি।
তুমুল সমালোচনার মুখে সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নাম পরিবর্তন করে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড করা হয়। এরইমধ্যে বোর্ড গঠন করে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যরাই নবগঠিত সার্টিফিকেশন বোর্ডে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে দুজন সদস্য সরে দাঁড়ানোয় শূন্যতা সৃষ্টি হলে সেখানে আসার জন্য প্রস্তাব করা হয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনমকে। তবে তিনি দুইদিন সময় চেয়ে সরকারি সেই প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন নিজের অপারগতা ও অনাগ্রহের কথা। বিষয়টি নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী।
শবনম বলেন, মুঠোফোনে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আমাকে প্রস্তাব করেছিলেন বোর্ডে থাকতে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমার শরীর অনেক কিছুই পারমিট করে না। প্রতিদিন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি। সিনেমা নিয়ে ভাবার সময়ও পাই না। তবে, মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ, তারা আমার কথা মনে করেছেন বলে। কারণ, তারা আমাকে নাও ভাবতে পারতেন।
কিংবদন্তি যোগ করেন, শরীর পারমিট না করলে কিছুই ভালো লাগে না। বোর্ডে থাকলে ভালো লাগত। কিছুদিন আগে পাকিস্তান ফিল্ম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যানের পদে অফার করেছিল তারা। এর জন্য মোটা অঙ্কের সম্মানীও দিতে রাজি ছিল। কিন্তু এ বয়সে এই গুরুভার নেওয়ার মতো ফিটনেস আমার নেই। তাছাড়া দেশ ছেড়ে কোথাও আর যেতে চাই না। যে ক’টা দিন বাঁচি, মাতৃভূমিতেই সবার সঙ্গে হেসে-খেলে কাটিয়ে বিদায় নিতে চাই।
অন্যদিকে, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩-এর জুরি বোর্ডও পুনর্গঠন করা হয়েছে। যেখানে স্থান পেয়েছিলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেত্রী অপি করিম, সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ও সঙ্গীতপরিচালক প্রিন্স মাহমুদ। আজ জানা গেল এই বোর্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে কেন তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সে বিষয়ে এখনো কোন বক্তব্য আসেনি তার কাছ থেকে।
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের বর্তমান সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন: আইন ও বিচার বিভাগের সচিব; প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র) ; জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার প্রতিনিধি; বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক; বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি; ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক ড. জাকির হোসেন রাজু; চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল; চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক, লেখক ও সংগঠক জাহিদ হোসেন; চলচ্চিত্র সম্পাদক ইকবাল এহসানুল কবির; চলচ্চিত্র পরিচালক খিজির হায়াত খান; চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদ এবং চলচ্চিত্র পরিচালক তাসমিয়া আফরিন মৌ।