শিরোনাম |
❒ বহুল আলোচিত এসআই মিরাজ অন্তরকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়,তারপর আর ফেরেনি
❒ আগামী সপ্তাহে মামলা হতে যাচ্ছে ওসি মনিরুজ্জামান, ডিবির মারুফ ও চাঁচড়া ফাঁড়ির এসআই জামালসহ অনেকের বিরুদ্ধে
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ার তানভীর রহমান অন্তরকে গুমের অভিযোগে যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মামলাটি করেছেন অন্তরের মা ফাতেমা বেগম।
অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-তৎকালীন এসআই মিরাজ হোসেন, এসআই মনির হোসেন, এসআই আনসারুল, এসআই আমিনুর রহমান, কনস্টেবল খাইরুল, সালাউদ্দীন, হাফিজুল, ড্রাইভার আবু মুসা ও রায়পাড়ার নুর মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তানভীর রহমান অন্তর রেলগেট পশ্চিমপাড়ার বিল্লালের মাঠে বিল্ডিং নির্মাণের জন্য রাখা রড সিমেন্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রাতে দেখাশোনার কাজ করতেন। অন্তরের মামা শ্রাবণও ওই এলাকায় নাইট ডিউটি করতেন। ২০২০ সালের ৭ মে মধ্যরাতে অন্তর ও শ্রাবণ রাত ৩টার দিকে সেহরী খাওয়ার জন্য নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় এসআই মিরাজ হোসেন তাদের বলেন এসপি স্যার তাদের দুইজনকে নিয়ে যেতে বলেছেন। এরপর তাদের একটি মাইক্রোতে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান।
পরে বাদীসহ পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে অন্তর ও শ্রাবণকে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তাদের আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন পর জানতে পারেন শ্রাবণকে একটি মামলায় নড়াইলের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কিন্তু অন্তরকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাদীর ধারণা অন্তরকে আসামিরা হত্যা করে লাশ গুম করেছে। এ ঘটনায় বাদী সেসময় কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু এ ঘটনায় কোনো মামলা করার সাহস পাননি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকুলে আসায় তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ-যশোর আওয়ামী লীগের গ্রুপ রাজনীতির শিকার হয়েছেন অনেকে। তারা পুলিশ বাহিনীকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে দলীয় প্রতিপক্ষের অনেককে কথিত ক্রসফায়ারে হত্যা, জখম ও গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে। সেইসব পরিবারগুলো এতদিন ভয়ে মামলা করতে পারেননি। তাছাড়া থানায় মামলা নেয়া হয়নি।
বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা স্বজন হারানোর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি ও ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা করছেন। একাধিক সূত্রের দাবি-তৎকালীন কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান, ডিবির ওসি মারুফ ও চাঁচড়া ফাঁড়ির এসআই জামাল হোসেনসহ আরও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভুত হত্যা, গুম ও অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ আগামী সপ্তাহে একাধিক মামলা হতে যাচ্ছে।