শুক্রবার , ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪ আশ্বিন ১৪৩১
সংবাদ শিরোনাম :
শিরোনাম গ্রেফতারের ক্ষমতা ‘দখল’, ইউনূসকে কি বার্তা সেনাদের ? ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় অংশ নেয়ায় সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে অব্যাহতি যশোরের সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা,আসামি গ্রেফতারে ওসিকে নির্দেশ যশোরে প্রয়াত নায়ক সালমান শাহের জন্মদিন উদযাপন যশোরে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন যশোরে বিদ্যুৎ বিভাগের ফাঁদে অর্ধলাখ গ্রাহক,চলছে গলাকাটা ব্যবসা! সাবেক এমপি রনজিৎ-এসপি আনিসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা যশোরে ফিজিও থেরাপী ক্যাম্প অনুষ্ঠিত যশোরের সাবেক এসপি-ওসিসহ ১০ পুলিশসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গুমের মামলা যুবককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ,গোলাগুলি-দোকানে আগুন
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ যশোরের কেশবপুরে রাজাকারের তালিকায় এসএম আব্দুল করিমের নাম

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি করছেন রাজাকারের ৪ ছেলে,মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০৯:০০:০০ পিএম
:
Shornolota_2024-09-19_66ec3cff088a1.png

যশোরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন ৬৩৮ জন। এরবাইরে অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি করছেন অনেকে। এরমধ্যে এক কেশবপুরে এক পরিবারের ৪ জন ভূয়া সনদে চাকরি করছেন অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অন্তর্ববতী সরকার সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি প্রাপ্তদের তালিকা চাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন অনেকে। তারমধ্যে কেশবপুরের বিষয়টি চাউর হয়েছে। তারা বিভিন্ন স্থানে তদবির করে রক্ষা পাওয়ায় চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আবুল কালাম খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যশোরের কেশবপুরের পাঁচবাকাবশি গ্রামের এসএম আব্দুল করিম ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। ওই মুক্তিযোদ্ধার সনদে তার ছেলে এস এম আমিনুর রহমান বুলবুল সাতক্ষীরা সদর খাদ্য গুদামের ইনচার্জ, মামুন মণিরামপুর খাদ্য গুদামের দারোয়ান ও তার অপর দুই ছেলে সরকারি চাকরি করছেন।

এদের মধ্যে খাদ্য বিভাগে ৩ জন এবং অপর একজন প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তারা সকলেই বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন। তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটার সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন।

সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই এর সময় উপযুক্ত প্রমান দাখিল করতে না পারায় কমিটির চার সদস্য বীর মুক্তিযোদা কাজী রফিকুল ইসলাম (মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক মনোনিত সভাপতি) বীর মক্তিযোদ্ধা তৌতিদুরজ্জামান, (সংসদ সদস্য কর্তৃক মনোনিত সদস্য), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুর রহমান (জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনিত সদস্য) ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী আফিসার এস এম আরাফাত হোসেন এর যৌথ স্বাক্ষরে আব্দুল করিমকে মুক্তিযোদ্ধা নন মর্মে সুপারিশ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২০ মে কেশবপুর উপজেলা কমান্ডার কর্তৃক আবেদনে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেজেট থেকে বাদ দেওয়ার যে প্রস্তাব দেওয়া হয় তার ৪৭ নং ক্রমিকে আব্দুল করিমের নাম দেখা যায়।

তার পরিপ্রেক্ষিতে ২৫/৩/২০২১ তারিখে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রানালয় থেকে যে গেজেট প্রকাশ করা হয় তাতে আব্দুল করিমের নাম নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের তালিকার বিষয়টি নিয়ে সেই সময় কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। কাজেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ অনুযায়ী চাকুরীতে প্রবেশ ও সুযোগ সুবিধা গ্রহণ নৈতিক অবঙ্খলন জনিত অন্যায়। এ সকল প্রমানাদী বিবেচনা করে এস এম আমিনুর রহমান বুলবুলসহ তার অপর ভাইদের গ্রহীত সকল সুযোগ সুবিধা ফেরত ও সাময়িক বরখাস্ত করে বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কেশবপুরে এসএম আব্দুল করিমের ছেলে ও সাতক্ষীরা সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বুলবুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল হলে রিসিভ করেননি। এসএম আব্দুল করিমের অপর ছেলে মণিরামপুর ফুড গোডাউনের দারোয়ান মামুনের মোবাইলে কল করেও পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেশবপুরের এক প্রত্যয়নে দেখা যায় স্থানীয় রাজাকারের তালিকায় ৪নং ক্রমিকে আব্দুল করিমের নাম রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেশবপুর অপর একটি পত্রে যে ১০ জন জাল সনদধারী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে,সেখানে ৪নং ক্রমিকে আব্দুল করিমের নাম আছে। এছাড়া ইউনিয়ন ভিত্তিক রাজাকারের তালিকায় পাঁজিয়া ইউনিয়নে ১৩ নং ক্রমিকে আব্দুল করিমের নাম রয়েছে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝