শিরোনাম |
যশোরে গত ৪দিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতে যশোরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শহর ও শহরতলী ঘুরে জনজীবনে চরম দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শহর ও শহরতলীর জলাবদ্ধ এলাকার বাসিন্দাদের।
গেল কয়েকদিন ধরে থেকে থেমে থেমে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত ৪ দিনে ৩২৭ মিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে আজ সোমবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, টানা চার দিনে শহর ও শহরতলীর নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তায় পানি জমে গিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। জমে থাকা পানির কারণে বাসিন্দাদেরও কষ্টের কোন শেষ নেই।
যশোর শহরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খড়কী এলাকায়। এখানে অধিকাংশ নিচু রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে ।এই অঞ্চলের ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। দীর্ঘদিন ধরে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন অভিযোগ করেও কোনও কাজ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা খোকন মিয়া বলেন,আমরা বর্তমান পৌর প্রশাসকের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, তিনি যেন এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের দিকে নজর দেন।
এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মেনে নিলেও পৌর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বলে জানান শহরের বেজপাড়া চোপদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা জিল্লুর রহমান। অবিলম্বে পরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে পানি অপসারণসহ এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
যশোর পৌরসভার পয়ঃ ও পানি নিষ্কাশন বিভাগের প্রকৌশলী এসএম কামাল বলেন, জলাবদ্ধতার অনেকাংশ হ্রাস পেয়েছে। আমরা ড্রেনের পানি নিষ্কাশনে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে- সেগুলো অপসারণ করছি। বর্তমানে পৌর প্রশাসকের উপস্থিতিতে চাঁচড়া এলাকায় এস্কেভেটর দিয়ে পানি বের হওয়ার প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কাজ চলছে। আশা করি এ সমস্যার সমাধান হবে।
এছাড়া শহরের বেজপাড়া পিয়ারীমোহন রোড, ঘোপ সেন্ট্রাল রোড,বেলতলা, বউবাজার, বস্তি,বেলতলা, শংকরপুর পুরাতন কসবা এলাকা, রেল রোড, চাঁচড়া রায়পাড়া তলা, মোল্লাপাড়া ,ফুলতলা,খালদার রোড,লোন অফিস পাড়া ,শহরতলীর ঝুমঝুমপুর, হামিদপুর, সীতারামপুর , সুলতানপুর, শেখহাটি, উপশহর, বিরামপুর ,বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের মাছের ঘের, পুকুর মাছের বাওর ডুবে গেছে।