শিরোনাম |
❒ সদর ও চাঁচড়া ফাঁড়ির সাবেক দুই দারোগাসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে আরও মামলা
যশোরে এক ঠিকাদারকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ ও ক্রস ফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সদর ফাঁড়ির সাবেক টিএসআই রফিকুল ইসলামসহ ৭জন পুলিশ সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চাঁচড়া রায়পাড়ার মোস্তফা কামাল শিফা আদালতে মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটির অপর আসামিরা হলে পুলিশ সদস্য চাঁচড়া ফাড়ির তৎকালিন ইনচার্জ এসআই জামাল উদ্দিন, কনস্টেবল খাইরুল ইসলাম, আবু জাফর, জাহিদ হোসেন, মুজিবুল ইসলাম ও আব্দুল আলিম, পুলিশের কথিত সোর্স যশোর শহরতলীর বিরামপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার গোবিন্দ বিশ্বাস, প্রনয় বিশ্বাস, মণিরামপুর উপজেলার সমসেরবাগে গ্রামের কাঠালতলার আবুল হোসেন ও গোলাম হোসেন।
মামলার আরজিতে বাদী দাবি উল্লেখ করেছেন-তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার। ২০১৫ সালের ৬ মে বাদীকে বাড়ি থেকে তুলে সদর উপজেলা বোলতলা গ্রামের মাঠের মধ্যে নিয়ে যায় আসামিরা। এরপর তার বাড়িতে থাকা ৭২ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে তার চোখ ও হাত বেঁধে বাদীর কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করেন আসামিরা। এতো টাকা দিতে রাজি না হলে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায় বাধ্য হয়ে বাদীর মা রিজিয়া বেগম বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ধার-কর্জ করে আসামিদের ১২ লাখ টাকা দেন। ওইদিন ভোর রাতে তাকে যশোর রেলস্টেশনে ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকালে এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় মামলা করার জন্য যান বাদীর মা রিজিয়া বেগম। কিন্তু আসামিরা বাদীর মায়ের লেখা অভিযোগ ছিড়ে ফেলে সেখান থেকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, প্রধান অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে যশোরে আরও বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ফরিদপুরে কর্মরত আছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।