রবিবার , ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮ পৌষ ১৪৩১
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ বয়স বিবেচনা না করে হাই অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ দেয়ায় মৃত্যুর অভিযোগ

যশোর সদর হাসপাতালে মৃত নবজাতককে খুলনায় রেফার করা নিয়ে তোলপাড়,তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশ : সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০৩:২৪:০০ পিএম , আপডেট : সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০৩:৪৮:১৩ পিএম
স্বর্ণলতা নিউজ:
Shornolota_2024-09-09_66debf1332725.JPG

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’দিনের নবজাতক শিশুর মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে খুলনা মেডিকেলে রেফার করার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্বজনদের হট্টগোলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির পর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন  তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর রশিদ। তারপর পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌস জাহাঙ্গীরকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পত্রপ্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


মৃত নবজাতক যশোর শহরতলী নওপাড়া ইউনিয়নের শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে তার নাম লেখা হয়েছে বেবি অব শান্তা ইসলাম।

সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। নবজাতক জন্মের পরে একটু অসুস্থ বোধ করলে তারা নবজাতকটিকে নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের বিপরীত পাশে কিংস হসপিটালের ডাক্তার পলাশ কুমার পালকে দেখান। এ সময় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং আল্ট্রাসনো করেন। কিন্তু তেমন কোনো রোগ ধরা না পড়ায় সাধারণ নিউমোনিয়া উল্লেখ করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। রোববার রাতে স্বজনরা নবজাতকটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এরপর থেকে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক ওই শিশুকে দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন।

স্বজনরা আরও অভিযোগ করেন, অনেক অনুরোধের পর ওইদিন রাতে ডাক্তার আফসার আলী এসে নবজাতককে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যান। ইন্টার্ন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অবহেলার এক পর্যায়ে আজ (সোমবার) ভোর ৫টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়।

এদিকে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শিশু চিকিৎসক আফসার আলী হাসপাতালে ছুটে এসে নবজাতকের ব্যবস্থাপত্রে ভোর ৫টার দিকে রেফারের বিষয়টি উল্লেখ করেন। একই সাথে স্বজনরা নবজাতককে খুলনায় নিয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করে চিকিৎসক। এছাড়া শিশু চিকিৎসক আফসার আলী রোগীর স্বজনদের সাথে উগ্র আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন নবজাতকের স্বজনরা।

মৃত শিশুর মা শান্তা ইসলামের অভিযোগ-শিশুর বয়স বিবেচনা না করে হাই অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ দেয়ার কারণে তার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নবজাতকের মৃত্যুর পর চিকিৎসক জীবিত দাবি করে তড়িঘড়ি করে খুলনায় রেফার্ড করেন।


এ ব্যাপারে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর রশিদ জানান, নবজাতক শিশুকে মৃত অবস্থায় খুলনায় রেফার করা হয়েছে এমনটি অভিযোগ করছেন নবজাতকের স্বজনরা। এ বিষয়ে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝