শিরোনাম |
❒ গেলেন সচিবলয়ে,দেখা পাননি উপদেষ্টার
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার দপ্তরে গতকাল রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে জানাতে গেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
সচিবালয়ে আসা প্রসঙ্গে সোহেল তাজ জানান, আমার নিরাপত্তাজনিত কিছু বিষয় নিয়ে উপদেষ্টার কাছে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি উপদেষ্টা এখনও পথেই আছেন। তিনি এলে আমরা কথা বলবো।
এর আগে গতকাল প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর প্রধানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সোহেল তাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লেখেন, আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি। প্রতিউত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চেলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা। জবাবে সে আমাকে বললো আমি আপনাকে চিনি- আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বললো যে সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বললো। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চেলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোন উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বললো তারপর আমাকে বললো চলে যেতে আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল।
তার কথা বলার ধরণ এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোন গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এই ভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা- এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে- ছি ছি।
তিনি আরও লেখেন, এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন এবং ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেটের প্রবেশ পথের হাই রেসুলেশন ক্লোস্ড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই ধরা পরবে কে এই মোটরসাইকেল আরোহী- সময় রাত ১০:৫০ মিনিট থেকে ১১:০০- আমার গাড়ি এই সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পেছনেই এই মোটরসাইকেল আরোহী ছিল।
প্রসঙ্গত দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একমাত্র পুত্র তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। ছিলেন আওয়ামী লীগের দুইবারের এমপি। এমনকি শেখ হাসিনার সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনও করেন তিনি। কিন্তু দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে গিয়ে রোষানলে পড়ায় প্রথমে প্রতিমন্ত্রী ও পরে সংসদ সদস্যপদ ছাড়েন সোহেল তাজ। সরে যান রাজনীতি থেকেও।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ টিকে থাকার জন্য যখন আন্দোলনরত ছাত্রদের দমন করতে হত্যাযজ্ঞে মত্ত তখন এর প্রতিবাদে মাঠে নামেন সোহেল তাজ। আওয়ামী পরিবারের সদস্য হয়েও প্রথা ভেঙে ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়ান তিনি।