শিরোনাম |
নিখোঁজ একই পরিবারের ৭ জনকে রাঙ্গামাটিতে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে রাঙ্গামাটি সদর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের উদ্ধার করে।
এরআগে, বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে একই পরিবারের নারী, শিশুসহ ৭ সদস্য নিখোঁজ হয়। তারা অপহরণের শিকার, নাকি আত্মগোপন করেছেন, তা নিয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা। গৃহকর্তা এ ব্যাপারে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনস্পেকটর তারিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নিখোঁজরা হলেন ব্যবসায়ী জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩০), তার তিন সন্তান সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি বেগম (১৩), জমজ দুই ছেলে হাসান ও হোসেন (৬), শাশুড়ি ফাতেমা বিবি (৫০), শ্যালক বিক্রম আলী (১৩) ও শ্যালিকা রুনা খাতুন (১৭)।
রাঙ্গামাটির ডিবি পুলিশের ওসি মানস বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বগুড়া থেকে রহস্যজনকভাবে একই পরিবারের সাতজন নিখোঁজের খবরের পর পিবিআই আমাদের সহায়তা চায়। সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে আমরা জেলা শহরের একটি এলাকা থেকে পাঁচজন ও নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়ন থেকে দুইজনসহ একই পরিবারের সাতজনকে উদ্ধার করি। পরে রাতেই তাদের বগুড়ার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, রহস্যজনক বলা হলেও মূলক পারিবারিক কলহ থেকে তারা এখানে পালিয়ে এসেছেন। উদ্ধার ব্যক্তিদের মধ্যে বিবাহিত দুজন মা-মেয়ে। তাদের দুজনকেই প্রত্যেকের স্বামী মারধর করতো বলে জানা গেছে। বগুড়া থেকে তারা প্রথমে চট্টগ্রাম আসে। পরে চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটিতে আত্মীয়ের বাসায় উঠে।
জীবন মিয়া জানান, তিনি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাট সদরে। তিনি ১০ বছর বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। পুরোনো ফ্রিজ কেনাবেচা করে থাকেন। তার সঙ্গে স্ত্রী, ৩ সন্তান, শাশুড়ি, শ্যালক ও শালিকা থাকেন। শাশুড়ি ফাতেমা বিবি নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন। ৩ জুলাই দুপুরে বাড়িতে খেতে গিয়ে দেখেন কেউ নেই। স্ত্রীর ফোন বন্ধ, শাশুড়ির ফোন ঘরে রেখে গেছেন। তাদের কাপড়চোপড় ঘরেই রয়েছে। পরে লালমনিরহাটে শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানতে পারেন তারা সেখানে যাননি। নানি শাশুড়ি তাকে (জীবন) জানিয়েছেন, প্রায় এক মাস আগে এক ব্যক্তি তার শাশুড়ি (ফাতেমা) ও স্ত্রীকে (রুমি) ভালো চাকরির প্রলোভন দেয়। জীবন মিয়ার আশঙ্কা, পরিবারের সদস্যরা মানবপাচারকারীর খপ্পরে পড়েছে। তিনি স্বজনদের ফিরে পেতে শনিবার রাতে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।