শিরোনাম |
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আবাসন ব্যবসায়ী আজগর বিশ্বাস ওরফে তারা বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবিকে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার দুপুরে মহানগরীর রায়েরমহল এলাকায় তারা বিশ্বাসের অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
তারা বিশ্বাসের ছোট ভাই তারেক বিশ্বাস জানান, দুপুরে বিশ্বাস প্রোপার্টিজের অফিস থেকে তার বড় ভাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে জেলা ডিবি পুলিশ।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহার নেতৃত্বে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের দুইটি টিম বিশ্বাস প্রোপার্টিজের অফিসে অভিযান চালিয়ে তারা বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এখনই এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি।
এদিকে তারা বিশ্বাসের আটকের পর ডুমুরিয়া থানা পুলিশ দীর্ঘ তিন ঘণ্টা তারা বিশ্বাসের মালিকানাধীন বিশ্বাস প্রোপার্টিজের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে একটি শটগান, একটি খেলনা পিস্তল, একটি রিভলবার সদৃশ লাইটার, ৫৭ রাউন্ড কার্তজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করেছে।
খুলনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডে ক্লু সম্পর্কিত কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তবে তথ্য উদঘাটনের জোর চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত পৌঁনে ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামকস্থানে দুর্র্বৃত্তদের গুলিতে শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ রবিউল ইসলাম রবি (৪৬) নিহত হন। ঐ দিন তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে মোটরসাইকেলে একা খুলনার বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। রাত পৌঁনে ১০টার দিকে তিনি খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামকস্থানে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে পেছন দিক থেকে বেশ কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার পিঠে ৫টি গুলি বিদ্ধ হয়ে রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ শুনে পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সোয়া ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।