শিরোনাম |
❒ পু
যশোরের শার্শা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে রাজনৈতিক বিরোধ ও পুরোনো শত্রুতার জেরে বিএনপি কর্মী লিটন হোসেন (৩০) হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে দুর্গাপুর গ্রামের চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় একই এলাকার একদল সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়। স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন কিন্তু চিকিৎসক জানান হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজান বিরাজ করছে।
নিহত লিটন দুর্গাপুর গ্রামের আজগার আলীর ছেলে। খুন হওয়ার মাত্র ২০ দিন আগে একটি মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন লিটন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা শার্শা থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮–১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় লিটন স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে একদল যুবক দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। দা, কুড়াল ও হাসুয়া দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আজগার আলী জানান, তার ছেলের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগপন্থি সন্ত্রাসী সেলিম হোসেন ও তার সহযোগীদের দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। ঈদের আগের দিনও তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। তার দাবি, লিটনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুর্গাপুর গ্রামের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন-এজাহারভুক্ত আসামি মো. আজগর আলী (৩২) ও মো. শমসের আলী (৪৫), এবং সন্দেহভাজন মো. আব্দুল হক মিয়া (৫৫) ও মো. সামছুল হক (৫২)।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা এলাকার চিহ্নিত অপরাধী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সেলিম হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। হত্যার পর তারা আত্মগোপনে চলে গেলেও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শা থানা ও গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
36067 এই রকম আরও টপিক