মঙ্গলবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৫ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে আন্দোলনে চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার ও হল খুলে না দেয়ায় উত্তাল ক্যাম্পাস
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল , ২০২৫, ০৪:০২:০০ পিএম
খুলনা সংবাদদাতা:
Shornolota_2025-04-15_67fe3cec9e967.JPG

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী বডি সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ মুখোমুখি না হলেও বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানোর পর ফের উত্তাল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। 

সভায় আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং ২ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

তবে সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রাত সোয়া ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচ্যসূচির আলোকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেটে গ্রহণ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সব আবাসিক হলসমূহ ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

এদিকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁদের দাবি ছিল গতকাল রাত থেকেই হল খুলে দিতে হবে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাঁদের জানাবে। কিন্তু কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানায়নি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দিন দেরি আছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাঁদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাঁদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।

এরআগে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে ৫৩ দিন ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ রয়েছে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝