শিরোনাম |
❒ ‘নবজাগরণে বাজুক ঢাক, এসো, এসো হে বৈশাখ’
❒ যশোরে বর্ষবরণে উদীচীর বর্ণাঢ্য আয়োজন ছবি:
বাঙালির ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বাংলা নববর্ষবরণে উৎসব আমেজে মাতোয়ারা ধর্ম-বর্ণ, ধনী-গরিব নির্বিশেষে আপামর জনতা উপভোগ করলেন যশোর উদীচীর বর্ণিল আয়োজনের উৎসব। বাংলার আকাশ-বাতাসে এখন শুধুই উৎসব-আনন্দের ধ্বনি। চারদিকে নতুনের জয়গান।
‘নবজাগরণে বাজুক ঢাক, এসো, এসো হে বৈশাখ’-এই প্রতিপাদ্যে যশোর পৌর উদ্যানে বর্ষবরণ উৎসবের প্রভাতী পর্বের আয়োজন করে উদীচী যশোর জেলা সংসদ। এবার শুধু ভোরেই নয়, বিকেলেও থাকবে সংগঠনটির বৈশাখী আয়োজন।
যশোরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে টানা ৪৮ বছর উৎসবে মেতে আছেন উদীচীর তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিল্পী।
ভোর ৬টা ৩১ মিনিটে সূর্যোদয়ের পরপরই ভৈরবী রাগে শুরু হয় বৈশাখের আহ্বান পর্ব। এরপর সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় সেই চিরায়ত রবিঠাকুরের গান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো…’।
বাংলার পাঁচ গীতিকবি-রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, রজনীকান্ত সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও অতুল প্রসাদের গানে সাজানো হয় পরবর্তী পরিবেশনা। পাশাপাশি ছিল শিশুতোষ পরিবেশনা, হারানো দিনের বাংলা গান, জীবনমুখী গান, লোকসংগীত, আধুনিক গান, লোকনৃত্য।
পর্যায়ক্রমে পরিবেশিত হয় সাম্প্রদায়িকতা ও সামাজিক অসংগতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গান এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে গণসংগীত। গোপালগঞ্জ জেলা সংসদের পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হয় পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ অবলম্বনে গীতিনৃত্যনাট্য।
প্রতি বছরের মতো এবারও দেওয়া হয় ডা. রবিউল নববর্ষ পদক–১৪৩২। এবার পদক পেয়েছেন উদীচী যশোর জেলা সংসদের বর্তমান কার্যকরী কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি সোমেশ মুখার্জী।
অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক ও সাংস্কৃতিক চেতনায় গড়ে ওঠা একটি হাসিমুখের বাংলাদেশ গঠনে উদীচীর আন্দোলনে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।