মঙ্গলবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৫ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ সংবিধান প্রশ্নে বিএনপির পথে হাঁটছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল

গণফোরামও পুনর্লিখন ও মূলনীতি পরিবর্তনের বিপক্ষে

❒ ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৭৮টি প্রস্তাবেই দ্বিমত পোষন

প্রকাশ : রবিবার, ১৩ এপ্রিল , ২০২৫, ০৮:৩৭:০০ পিএম
স্বর্ণলতা ডেস্ক:
Shornolota_2025-04-13_67fbcca589f7f.JPG

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৭৮টি প্রস্তাবেই দ্বিমত জানিয়ে মতামত জমা দিয়েছে গণফোরাম। দলটি কমিশনের ৫৮ প্রস্তাবে একমত এবং ২৪টি প্রস্তাবে আংশিকভাবে একমত। অন্যদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১০৯টি প্রস্তাবে একমত, ২২টিতে দ্বিমত এবং ৩৪টিতে আংশিকভাবে একমত। এরআগে দেশে বর্তমান প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ধর্মনিরপেক্ষতাসহ সংবিধানের ৪ মূলস্তম্ভ বহাল রাখার পক্ষে মত দেয়। এরবাইরেও সংবিধান সংস্কার কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবনার বিপক্ষে অবস্থান জানান দিয়ে আসছে বিএনপি। এবার গণফোরামও একই পথে হাটলো। এরবাইরে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যৎসামান্য সংস্কারে মত দেয় কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোনকিছু সংস্কারের পক্ষে নেই বলে জানিয়েছে। 

আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে মতামত জমা দেয় গণফোরাম ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। এ সময় কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মতামত জমা দেয়। তিনি জানান, সংবিধান পুনর্লিখন ও মূলনীতি পরিবর্তনের বিপক্ষে গণফোরাম।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটের সমালোচনা করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘যে ধরনের প্রশ্ন আকারে তথ্য ও উপাত্ত দেওয়া হয়েছে, এটা আমাদের কাছে অনেকাংশে অস্বচ্ছ ও বিভ্রান্তিকর বলে মনে হয়েছে। আমরা সংবিধান সংস্কার কমিশনের ১২টি প্রস্তাবে একমত হয়েছি।’


জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষে সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দেয় দলের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। বিবাহ, তালাক, পারিবারিক সম্পদ বণ্টন ও ধর্ম অবমাননা বিষয়ে আলাদা আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছে দলটি।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চায় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ১৩ মার্চের মধ্যে দলগুলোকে মতামত দিতে বলা হয়েছিল।

ঐকমত্য কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ৩৪টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে কমিশন। মতামতের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। এরই মধ্যে আটটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা শেষ করেছে ঐকমত্য কমিশন। ১৫ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সঙ্গে এবং ১৭ এপ্রিল বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।

 

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝