শিরোনাম |
❒ গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর
❒ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ছবি:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কিছু কিছু ব্যাংকের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আমরা চেষ্টা করছি সুশাসনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। পুরোটা হয়ত পারব না। কারণ কোনো কোনো ব্যাংকের আমানতের ৮৭ শতাংশ একটি পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অর্থনীতির পুনর্বিন্যাস বিষয়ে টাস্কফোর্সের সুপারিশ’ শীর্ষক দুই দিনের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘ম্যাক্রো-ইকোনমিক পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স ইন দ্য ব্যাংকিং সেক্টর’ সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এই মুহূর্তে নতুন করে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার চিন্তা করছি না। এর বদলে এমএফএস’কে আন্তঃলেনদেন যোগ্য কীভাবে করা যায়, সে চিন্তা করছি।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) টিকে থাকলেও ব্যাংকে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না- এমন নীতিমালা করা হচ্ছে মন্তব্য করে গভর্নর বলেন, এফআইডি ব্যাংক খাতে কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। তারা চাইলে বিমা কোম্পানি টেক-কেয়ার করতে পারে, তবে ব্যাংক নয়।
সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলো নিয়ে গভর্নর বলেন, ইসলামি ব্যাংক ও ইউসিবিএলকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আর কোনো লিকুইডিটি সাপোর্ট দিতে হচ্ছে না। এখন তাদের সাথে আর কি কি সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। তারা লোন দিতে পারে না, উত্তরণের চেষ্টা করছে। সুতরাং এ ২ টি ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
সেশনে এর আগে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, ব্যাংক বন্ধ করা কোনো সমাধান নয় বরং বাঁচিয়ে রাখা দরকার। একদিনে ব্যাংক ঠিক করা সম্ভব নয়। বর্তমান গভর্নর অনেক গুণী। কিন্তু তিনি নিজে যদি বলেন, ভালো ব্যাংক, খারাপ ব্যাংক, সবল ব্যাংক, দুর্বল ব্যাংক, ২টি ব্যাংক ঘুরে দাঁড়িয়েছে- এসব কথা বলা বন্ধ না করলে কোনোদিন ব্যাংক খাত ভালো হবে না। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশি কথা বলে।
সাবেক এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, টাস্কফোর্সে অর্থনীতিকে রাজনীতি থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। মনে হয়েছে, দেশে কোনো রাজনৈতিক অবস্থা নেই। সবাই বাণিজ্যিক ব্যাংককে দুষছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের অবদান টাস্কফোর্স এ অস্বীকার করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো শর্ট টার্ম সঞ্চয়ের বিপরীতে লং টার্ম লোন দিচ্ছে। টাস্কফোর্সের রিপোর্টে এসব লেখা হয়নি। এসব কথা কাকে বলবেন, যাদের বলবেন তারা লুণ্ঠনে ব্যস্ত। টাস্কফোর্স বই দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ সংস্কার দরকার রাজনীতিতে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কার না হলে কোনো সমাধান হবে না।