শিরোনাম |
❒ উত্তরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারধর উল্লাস
❒ সন্দেহের বশে কাউকে মারধর করা ঠিক না-বলছেন সচেতন মহল
❒ মারধরের শিকার দু’জনের মিলেছে পরিচয় ছবি:
রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনির পর পায়ে দড়ি বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয় দুই জনকে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এরমধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর রটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিভৎস ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উত্তরা হাউজবিল্ডিংয়ের বিএনএস সেন্টারের সামনে ফুটওভার ব্রিজের উপরে এই ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিরা হলেন- নাজিম ও বকুল। উদ্ধারের পর তাদের কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর খবর উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে মারধরের পর তাদের উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে দুই জন সুস্থ আছেন।
গণপিটুনির শিকার দুই ব্যক্তি কি আসলেই ছিনতাইকারী ছিল-জানতে চাইলে ওসি বলেন, দুই ব্যক্তিকে ছিনতাইকারী সন্দেহে মারধর করেছে জনতা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন এক ব্যক্তিকে ওপরে তুলছে আর হৈ হৈ করে চিল্লাচিল্লি করছিল। এ সময় ওই ব্যক্তির পায়ে দড়ি বাঁধা দেখা যায়। পরে তাকে ফুটওভার ব্রিজের লোহার পিলারের সঙ্গে উল্টো করে বাঁধছিল হলুদ রঙের টি-শার্ট পড়া এক যবুক। আরও কয়েকজন জনতা ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে ওপরের দিকে তুলছিল। আর তিনি বাঁচার জন্য ছটফট করছেন। আর পরনের কালো রঙের প্যান্টটিও প্রায় খুলে যাওয়ার অবস্থা।
স্থানীয়রা বলছেন, সম্প্রতি চলমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ছিনতাইয়ের ঘটনা জানার পরই জনতা এক হয়ে প্রতিরোধ করছে।
তবে রাজনীতি সচেতন মহলের অভিযোগ এটা ঠিক না। সন্দেহের বশে এভাবে অমানবিক কর্মকাণ্ড ভাল বার্তা দেয় না। তাছাড়া অপরাধী হলেও আইন হাতে তুলে নেয়া অনুচিত। এসব বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়া জরুরী। যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে-তাদের ভিডিও দেখে শনাক্ত ও আটক করে আইনের আওতায় আনা উচিত। তাহলে এ ধরণের অমানবিক কর্মকাণ্ডে মানুষ উৎসাহি হবে না।