শিরোনাম |
❒ নড়াইলের সার পাচার করা হচ্ছিল চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মেসার্স নাঈম ট্রেডিংয়ে
নড়াইল বিএডিসির ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ২০ হাজার কেজি ডিএপি সার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিলো যশোর ডিবি পুলিশ। ট্রাকভর্তি সার উদ্ধার ও ট্রাক চালকসহ দুইজন ধরাও পড়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন ডিবি পুলিশের এসআই বিপ্লব সরকার।
মামলায় আসামিরা হলেন-যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকার বুইকারা এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে ট্রাক চালক মামুন ফকির (৩৪) এবং বুইকারা জগর মোড়ের কামাল হাওলাদারের ছেলে হাসিব হাওলাদার (২১)।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে গোপন সূত্রে জানা যায় নড়াইল থেকে এক ট্রাক সরকারি সার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় অবৈধ ভাবে পাচার করা হচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির একদল ফোর্স যশোরের পালবাড়ির মোড়ে অবস্থান নেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ওই ট্রাকটি (যশোর-ট-১১-৪১৫৭) জব্দ করেন। সে সময় ট্রাক চালক মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকার করেন নাড়াইলের সার ডিলার অশোক কুন্ডুর ম্যানেজার জয়দেব পাল সার আত্মসাৎ করে মেহেদী নামে একজনের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গার দামড়হুদা উপজেলার মেসার্স নাঈম ট্রেডিং এর মালিকের কাছে সার পাঠাচ্ছিলেন। পরে ট্রাক তল্লাশি করে ৪শ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করা হয়। সেই সাথে মেসার্স এমএ ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড শিপিং এবং মেসার্স তাওহীদ এন্টারপ্রাইজের ট্রান্সপোর্টের চালান কপি জব্দ করা হয়। পরে তিনি জানতে পারেন নড়াইলের অশোক কুন্ডর ম্যানেজার জয়দেব পাল ও মেহেদী নামে অপর একজন পরস্পর যোগসাজসে নড়াইল বিএডিসির সার উঠিয়ে তা আত্মসাৎ করে কালো বাজারে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ জানতে পেরে তা আটক করে।