শিরোনাম |
❒ হতাশ দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন!
অর্থ পাচারের বিষয়ে তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হলেও তাতে বিশেষ সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মাত্র ২৭টি চিঠির জবাব এসেছে উল্লেখ করে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলছেন বিষয়টি দুঃখজনক।
ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক বিভিন্ন দেশে ৭১টি এমএলএআর পাঠিয়েছে দুদক, উত্তর এসেছে মাত্র ২৭ টির অর্থ পাচার রোধে দুদককে সহযোগিতার আশ্বাস ইইউর |
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে বিগত সরকারের আমলে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের তথ্য উঠে এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অর্থ পাচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা পেতে দফায় দফায় বৈঠক করছে দুদক। সেই ধারাবাহিকতায় বেলা ১১টায় দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘দেশ থেকে অর্থ পাচার করেছে এমন অভিযোগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের তথ্য চেয়ে আমরা এ পর্যন্ত ৭১টি এমএলএআর পাঠিয়েছি, দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭টি চিঠির উত্তর পেয়েছি। বৈঠকে এসব বিষয় আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবহিত করেছি।’
৭১টি এমএলএআরের বিপরীতে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ বা কোন কোন দেশে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে, জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, ‘এটা আমরা এখন বলতে পারছি না। পরে বিস্তারিত জানাব।’
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আর আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করা হয়েছে। এ দেশগুলোতেই বেশি এমএলএআর পাঠানো হয়েছে বলে জানান দুদকের এই মহাপরিচালক।
দুদক বলছে, কানাডার বেগমপাড়া, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বেশি টাকা পাচার করেছেন সরকারের আমলা কিংবা মন্ত্রী-এমপিরা। তবে এসব দেশে চিঠি দিয়ে তথ্য চাইলেও কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছে না দুদক।
দুদক ইইউ প্রতিনিধিদলের কাছে স্পেসিফিক কোনো সমস্যা তুলে ধরেছে কি না, এমন প্রশ্নে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, ‘অর্থ পাচার অনুসন্ধান এবং তদন্তের ক্ষেত্রে যে ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো আমরা তুলে ধরেছি। যে যে দেশে আমাদের দেশ থেকে অর্থ পাচার করা হয়েছে, সেসব দেশ যেন আমাদেরকে সহযোগিতা করে, সেটাই জানিয়েছি।’
এদিন মানি লন্ডারিং ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহকে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইইউ প্রতিনিধিদল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন ইইউর হেড ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মি. মিচেল ক্রেজা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অব ইনক্লুসিভ গভার্নেন্স মি. পাবলো পাদিন পেরেজ, নাদের তানজা ও কিশোয়ার আমিন।