শিরোনাম |
❒ বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় বিপুল পরিমাণ গার্মেন্টস পণ্য
৩ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাগজপত্র বিহীন বেনাপোল স্থল বন্দরের ১৭ নং শেড থেকে উন্নত মানের গার্মেন্টস পণ্য ট্রাকে লোড করার সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আটক করেছে। আনুমানিক ৩ কোটি টাকার এই চালানটি ভারত থেকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে বন্দরের শেড ইনচার্জ আব্দুল মতিনের সহযোগিতায় ভারতীয় ট্রাক থেকে আনলোড হয়। দুপুর ১২ টার দিকে ওই পণ্য কাগজপত্র বিহীন খুলনা মেট্রো-ট ১১-২১৬৭ নং কাভার্ডভ্যানে লোড করার সময় কাস্টমস ধরে ফেলে। এর মধ্যদিয়ে বন্দরে অনিয়ম-দুর্নীতির আরও একটি চিত্র উঠে এলো।
সরেজমিনে স্থল বন্দরের ১৭ নং শেডে গিয়ে দেখা যায়, উন্নত মানের গার্মেন্টস পণ্য শাড়ি থ্রি-পিছ, প্যান্টের পিস,বোরখা কাপড় ও সোপার কভারসহ হরেক রকমের দামি গার্মেন্টস পণ্য কাভারভ্যানে উঠানো হয়। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই পণ্য আটক করে। তবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই মালের স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
১৭ নং শেডের ইনচার্জ মতিন বলেন, এই পণ্য কার আমি জাানি না। কি ভাবে শেডে নামল তাও আমি বলতে পারবো না। তবে সে ওই শেডের ইনচার্জ চাবি তার কাছে থাকে, কিভাবে এই অবৈধ পণ্য বন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রবেশ করল-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার এখানে প্রান্ত নামে একজন এনজিও কর্মী থাকে। সে মিয়ান নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্সির আব্দুল্লাহ নামে একজন বর্ডারম্যানের সহযোগিতায় শেডে পণ্য আনলোড করে থাকতে পারে।
বেনাপোল সিএনডএফ এবং এ্যাসোসিয়েশন এর বই এবং ওই সিএন্ড এফ এর অফিস অনেক খুজাখুজি করে কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থল বন্দরের কার্গো শাখা থেকে জানা যায় ওই নামে কোন সিএন্ডএফ এজেন্ড নাই এবং আব্দুল্লাহ নামে কোন বর্ডার ম্যান ও নাই। স্থানীয়রা জানায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যেমে স্থল বন্দর ও কাস্টমস এর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে পণ্য আমদানি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছে। আর এসব শুল্ক ফাকি দিয়ে অসাধু আমদানি কারক ও সিএন্ড সদস্যরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে।
পণ্য আটক করে পরীক্ষন করার সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেন, কি পরিমান পণ্য আছে তা ওজন করে পরবর্তীতে জানানো যাবে। তারা আরো জানায়, আমদানিকৃত এসব পণ্যর কোন কাগজপত্র এবং পণ্যর দাবিদার কোন মালিক পাওয়া যায়নি।