শিরোনাম |
❒ ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় ৬ অঙ্গরাজ্য লণ্ডভন্ড
❒ ভয় নেই,আমরা পাশে আছি-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
আটলান্টিক মহাসাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় ৬ অঙ্গরাজ্যেে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে ওয়াশিংটনের আশঙ্কা, নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়াতে পারে। খবর: আল জাজিরা।
হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এই আশঙ্কা জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লিজ শেরউড-র্যান্ডওয়েল। তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত উত্তর ক্যারোলিনা থেকে ৩৯ জন, দক্ষিণ ক্যারোলিনা থেকে ২৫ জন, জর্জিয়া থেকে ১৭ জন, ফ্লোরিডা থেকে ১৪ জন, টেনেসি থেকে ৪ জন এবং ভার্জিনিয়া থেকে ১ জনের মরদেহ উদ্ধোর করেছেন। তবে আমাদের আশঙ্কা, এই ঝড়ে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
একই দিন পৃথক এক অনুষ্ঠানে ঘূর্ণিঝড় হেলনকে ‘ভয়াবহ বিধ্বংসী’ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমার জীবনে আমি এমন বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় খুব কম দেখেছি। তিনি বলেন, ভয় নেই-আমরা পাশে আছি।
নিখোঁজদের অনুসন্ধান এবং উপদ্রুতদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা সর্বাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি।
এই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই হেলেনের শিকার ৬ অঙ্গরাজ্য সফরে যাবেন বলে ঘোষণা করেছেন বাইডেন। নর্থ ক্যারোলিনা দিয়ে শুরু হবে সেই সফর। ঝড়ে এই রাজ্যটিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে হেলেন। এ সময় ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। বিধ্বংসী গতির এই ঝড়ের কারণে বিগ বেন্ড এবং তার আশপাশের এলাকার অজস্র গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে, অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। ব্যাপক ধ্বংসাত্মক হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আবহওয়া দপ্তর হেলেনকে ‘ক্যাটাগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দিয়েছিল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে হেলেন। এ সময় ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। বিগ বেন্ডে আছড়ে পড়ার পর জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলিনা এবং দক্ষিণ ক্যারোলিনার দিকে এগোতে হতে থাকে হেলেন। এ সময় কমতে থাকে ঝড়ের গতিবেগও। শুক্রবার বিকালের দিকে সাধারণ মৌসুমি ঝড়ে পরিণত হয় হেলেন, ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটারে নেমে আসে বাতাসের গতিবেগ।