শিরোনাম |
❒ রয়েল বেঙ্গল ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ
রয়েল বেঙ্গল ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপের (আরবিএফসি) একটি পর্বে জয় পেয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সন্তান মনজুর আলম। এই প্রতিযোগিতায় আরেক পর্বে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন একই উপজেলার হুসাইন কবির। এখন তাঁরা বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বদরবারে ওড়াতে চান।
আরবিএফসির ঢাকা ফাইট নাইট সিরিজ সম্প্রতি আয়োজন করা হয় রাজধানীর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে। এই প্রতিযোগিতার অনুমোদন দেয় অল বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিক্সড মার্শাল আর্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশন। এতে দেশের ১৪ জেলা থেকে ২৬ জন মিক্সড মার্শাল আর্টে (এমএমএ) অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় সাতটি ওজন শ্রেণিতে মোট ১৩টি বাউট অনুষ্ঠিত হয়। এসবের দুটি বাউটে অংশ নেন মনজুর আলম (২৩) ও হুসাইন কবির (২৩)। তাঁদের দুজনের বাড়ি গাংনী উপজেলার কাথলী ইউনিয়নে।
মনজুর আলম আরবিএফসিতে ফেদারওয়েট (৬৫ কেজি) ওজন শ্রেণিতে টাইটেল বেল্টের জন্য লড়াই করেন চট্টগ্রামের প্রতিযোগী আব্দুল্লাহ আল ফয়সালের বিরুদ্ধে। মনজুর আলম প্রতিপক্ষকে প্রথম রাউন্ডেই টেকনিক্যাল নকআউটের মাধ্যমে পরাজিত করেন।
অন্যদিকে হুসাইন কবির ব্যান্টামওয়েট (৬১ কেজি) ওজন শ্রেণিতে অংশগ্রহণ করেন ঢাকার সামির রাজের বিরুদ্ধে। এই প্রতিপক্ষকে তিনি প্রথম রাউন্ডেই জয় নিজের করে নিয়েছেন।
মনজুর আলম বলেন, ‘ভারত ও থাইল্যান্ডে গিয়ে বাংলাদেশ ও মেহেরপুর নাম উজ্জ্বল করার চেষ্টা করেছি। ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে একাধিকবার স্বর্ণপদক এনেছি। তবে এই প্রথম কোনো টাইটেল বেল্টের জন্য ফাইট করে জয় পেলাম। এই টাইটেল বেল্ট জেতার পর নতুন স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে। আশা করি ইউএফসি, ওয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো গ্লোবাল প্রমোশনে বাংলাদেশর পতাকা ওড়াব।’
প্রথমদিকে বাধা দিলেও পরবর্তীতে সামনের এগিয়ে যেতে পরিবার উৎসাহ দেয় বলে জানান মনজুর আলম। তিনি বলেন, ‘ইউটিউবে জন সিনা, রকসহ অনেকের খেলা দেখতাম। তখন থেকে মনের ভেতরে একটা আবেগ কাজ করত। আমি এই খেলা খেলব।’
হুসাইন-ও-মুনজুর
হুসাইন কবির বলেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে একাধিকবার ভারত থেকে স্বর্ণপদক বয়ে নিয়ে এসেছি। আমিও মনজুর আলমের মতো আরবিএফসির টাইটেল বেল্ট জয় করব। আমাদের স্বপ্নপূরণের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
হুসাইন কবির বলেন, ‘আমাদের জেলায় এই খেলায় কয়েকজন স্বর্ণপদক পেয়েছিল। তবে আর্থিক অনটনের কারণে তারা খেলা বন্ধ করে দেয়। তাই সরকারিভাবে যদি সহযোগিতা করা হয়, তাহলে আমরা এগিয়ে যাব।’
গাংনী উপজেলার কুতুবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মো. রেজাউর রহমান বলেন, ‘মুনজুর ও হুসাইনের অর্জনে আমরা গর্বিত। তাঁরা বাংলাদেশের সম্পদ। তাঁরা যেন লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে সেই কামনা করি।’
কাথলী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জিনারুল ইসলাম বলেন, ‘মনজুর ও হুসাইন একদিন বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরবে। আমি সব সময় তাদের পাশে আছি, সার্বিক সহযোগিতা করব।’