শিরোনাম |
❒ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে অভিনব কৌশল
সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সবসময় টহল দেয় সীমান্তরক্ষীরা। তা সত্ত্বেও অনেক সময় এগুলো ঠেকানো যায় না। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছির কৃত্রিম চাক তৈরি করেছে ভারত।
সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জওয়ান সীমান্তে জড়ো হন। সেখানে তারা মৌমাছি চাষ সম্পর্কে শিখছিলেন। ওই সময় মাথায় ও মুখমণ্ডলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরে নেন তারা।
সংবাদমাধ্যমটিতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মৌমাছি পালন করার বেশ কয়েকটি বাক্স কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা আছে।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে বিএসএফের ৩২নং ব্যাটালিয়ন। তারা এসব বাক্স ঝুলিয়ে রেখেছে।
তাদের আশা, যদি কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বা দুই দেশের কোনো চোরাকারবারি কাঁটাতারের কাছে আসে তাহলে মৌমাছি তাদের উপর আক্রমণ করবে।
বিএসএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন তারা। সেখানে অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান প্রায় শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।
৩২নং ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার বলেছেন, “এক বছরেরও কম সময় আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আমরা মৌমাছি পালন করা শুরু করি। এটি ছিল গ্রাম উন্নয়নে সরকারের একটি প্রকল্প। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী করা যায় সেই চিন্তা থেকে আমার মাথায় আসে মৌমাছি চাষের বাক্সগুলো কাঁটাতারের বেড়ায় রাখা যায়। আমরা প্রায়ই দেখি কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। এছাড়া গরু চোরাচালানসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় ঘটে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সীমান্তে এসব বাক্স রাখার পর সেখানে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।”
একটি ইউনিট এই উদ্যোগে সফলতা পাওয়ার পর অন্যান্য ইউনিটও একই রকম ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের এক কর্মকর্তা। আর যেসব জওয়ানকে মধুচাষ শেখানো হবে তারা অবসরের পরও জীবিকার জন্য এটি করতে পারবেন।