শিরোনাম |
❒ ছাত্র ধর্মঘটে উত্তাল দেশ,শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি নয় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির চাকরিতেও কোটা সংস্কার করতে হবে। আর কোর্টে অর্ডার স্থগিত হলেও আন্দোলন থেকে সরবে না শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০ জুলাই) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এ কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ থেকে কমিশন গঠনের মাধ্যমে কোটা পদ্ধতির স্থায়ী ও যৌক্তিক সমাধান করতে হবে।’
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বুধবার (১০ জুলাই) সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঢাকার ভেতর ও বাইরে বেশকিছু স্থানে তারা এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সড়ক অবরোধ করেছেন।
এছাড়া সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) কোটা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের' ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, সারাদেশের সব মহাসড়ক ও রেলপথ এ ব্লকেডের আওতাভুক্ত থাকবে।
এদিকে, কোটাবিরোধী আন্দোলনে এক দফা দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন শত শত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী। এতে সংশ্লিষ্ট সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে একই দাবিতে টানা সপ্তম দিনের মতো ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে দেশের উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (একাংশ) এর সাথে ঢাকার যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ অনুযায়ী সারা দিন দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করা হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশাপাশি হাইওয়ে এবং রেলপথও এ কর্মসূচির আওতায় থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করছি। এ আন্দোলনের ফলে জনসাধারণের যে ভোগান্তি হচ্ছে, তার প্রতি আমরা সংবেদনশীল। কিন্তু এর দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে। কারণ এতদিনের আন্দোলনের পরও তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেনি। আমরা চূড়ান্ত সমাধান চাই।’
এদিকে, রাজধানীর শাহবাগে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কটূক্তির প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রজন্ম ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সব সংগঠন।
এ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলো তীব্র যানজটের কবলে পড়তে পারে।