মঙ্গলবার , ১৮ মার্চ ২০২৫ , ৪ চৈত্র ১৪৩১
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই , ২০২৪, ০৫:৫৭:০০ পিএম
চাঁদপুর সংবাদদাতা:
Shornolota_2024-07-09_668d25b4d344a.JPG

চাঁদপুরের পারভীন হত্যা মামলায় সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত রসু খাঁর সাজা কার্যকর করতে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছিল। সেই আপিলের ওপর দীর্ঘ শুনানি করে আজ আদালত এই আদেশ দেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খাঁ। মসজিদের ফ্যান চুরির ঘটনায় কমিউনিটি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একে একে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের তথ্য। এ সময় তিনি নিজেই স্বীকার করেন ১১ নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা। ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়ে একসময় সিরিয়াল কিলারে পরিণত হন রসু খাঁ। টার্গেট ছিল ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর। আটকের আড়াই মাস আগে পারভীনকে হত্যা করেন রসু খাঁ। তিনি যাদের হত্যা করেছেন তারা সবাই গার্মেন্টস কর্মী। পরে তাকে এবং তার দুই সহযোগীকে পারভীন হত্যা মামলায় আসামি করা হয়।

ওই হত্যা মামলায় সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ (৪৫) তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অপর দুইজন হলেন, রসু খাঁর ভাগনে জহিরুল ইসলাম (৩৫) ও তার সহযোগী মো. ইউনুছ (৩৮)।

২০১৮ সালের ৬ মার্চ চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল মান্নান এ রায় দেন। এরপর মামলার নথিসহ ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রসু খাঁ চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের মুন খাঁ ওরফে আবু খাঁর ছেলে। জহিরুল পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সৈয়াল বাড়ির মো. মোস্তাফার ছেলে। আর ইউনুস একই গ্রামের মৃত মিসির আলীর ছেলে।

হত্যার শিকার পারভীন আক্তার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের পালতালুক গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী। তার বাবার নাম মৃত কাজল খান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২০ জুলাই রাতে রসু খাঁ ও অপর আসামিরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্য হাঁসা গ্রামের মাঠে পারভীন আক্তারকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, পারভীনের বাম স্তনে ও দুই পায়ের উরুতে ২০টি সিগারেটের ছেঁকার দাগ ছিল। ওই সময়ে পারভীন অজ্ঞাত হওয়ার কারণে ২১ জুলাই ২০০৯ তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মীর কাশেম আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের এসআই মোশফিকুর রহমান ঘটনার তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সে সময় চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাবিবুল ইসলাম তালুকদার জানান, মামলাটি দীর্ঘ ৯ বছর চলমান থাকা অবস্থায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পাশাপাশি আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করায় আদালত এই রায় দেন। রসু খাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও আদালতে আরও সাতটি মামলা রয়েছে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝