শিরোনাম |
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- দেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সংকটের মুখে পড়েছে। তিনি আরও বলেন- দেশ ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে পড়েছে। রোববার (২৪মার্চ) গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে কূটনীতিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতারপূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও কূটনৈতিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। এতে কূটনীতিকদের সাথে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সুশীল সমাজ, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও কর্মকর্তারা অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্ব জানে, বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি যা ঘটেছিল তা কোনো নির্বাচন নয় বরং জাতির গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার জন্য তা অপমানজনক।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত নির্লজ্জ কারচুপি, অনিয়ম ও সহিংসতা গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, ছবি, ঘটনাস্থলে ধারণ করা রিয়েল টাইম ভিডিও এবং সারাদেশের নির্বাচনী কৌশল প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট হয়েছে এই নির্বাচনের চিত্র। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই ডামি নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন একটি অত্যন্ত মেরুকৃত রাজনৈতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন হয়েছে প্রহসনমূলক, যেখানে প্রকৃত প্রতিযোগিতার অভাব ছিল। এ কারণে এ নির্বাচন মূল আন্তর্জাতিক মান পূরণ করে না। এদিকে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে।
গাজায় গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক নিরীহ বেসামরিক জনগণের ওপর পরিচালিত অমানবিক হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসঙ্ঘকে এই গণহত্যা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই। আমরা বিশ্বাস করি দুই রাষ্ট্রীয় নীতিই এর সঠিক সমাধান।
ফখরুল বলেন, মানুষে মানুষে সম্পর্ক হলো সেই ভিত্তি যার ওপর স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সংস্কৃতি, ধারণা এবং অভিজ্ঞতার আদান-প্রদানের মাধ্যমেই আমরা সীমানা অতিক্রম করতে পারি এবং শ্রদ্ধা ও সংহতির মূলে থাকা একটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে গড়ে তুলতে পারি।